মা-পুত মিলে ছিলাম ছায়ার মুরিদ
- আরিফ শামসুল ২৮-০৪-২০২৪

ঘরে সময়মাপক ছিল না বলে বারান্দার ছায়া মাটিতে প্রথম পড়লে ‘বিহান’ ও সোয়া হাত লম্বা হলে হতো ‘নাস্তাবেলা’। সাঁঝ-আলোর পিছু নিয়ে, দিনের শেষ মিম্বরে কেতাবি চুমু খেয়ে আমরা হাম্বাস্নাত হতাম।

সময়-হরিণের গতিচাতুর্য্য ধারণ করতে একে একে এলো যন্ত্র, সংখ্যা আর আপেক্ষিকতার ব্যবচ্ছেদ বাক্স। তবু পুরনো অন্ধকার সাঁতরে বেড়ায় জাতীয় অ্যাকুরিয়ামে; শ্যামা-ঘাসের ফিঙেটা আজও বুঝলো না- ছায়াত্যাগী হলেই পৃথিবীর তিন ভাগ জল পার হওয়া যায়।

মায়ের চোখ ভালোবাসি বলে তার রেটিনায় ঝুলে থাকা বাদুড়দের প্রতি আমার অভিযোগের গ্রাম-আদালত নেই। চতুর্থ প্রহরের নিরবতায় ঝিঁঝির শব্দদূষণে আমার মগজের চাররঙা দ্যুতি হয়তো বিলীন হতে বাধ্য হবে। তখনও ভিটামিন সমৃদ্ধ নক্ষত্রদের খুঁজে এনে অলিগলিতে করব বাতি-মিছিলের চড়ুইভাতি।

25.03.2014

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।